যৌবন ফিরে পেতে থানকুনি পাতা। থানকুনি পাতার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম ২০২৫
থানকুনি বর্ষজীবি ভেষজ উদ্ভিদ। থানকুনির পাতার উপকারিতা বহুবিধ। থানকু্নি পাতা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শরীরের অবসাদ ও ক্লান্তি ভাব দূর করে। থানকুনি
পাতার উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়মসহ বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো। থানকুনি
পাতা বৈজ্ঞানিকভাবে ম্যাকিনলেয়াসি পরিবারের অর্ন্তভূক্ত।
থানকুনি পাতার উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমন থানকুনি পাতার অপকারিতা ও রয়েছে। যৌবন
ফিরে পেতে থানকুনি পাতা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। Bissoy একাডেমি’র আজকের
আর্টিকেলের মাধ্যমে থানকুনি পাতার উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়মসহ কোন কোন
ক্ষেত্রে থানকুনি পাতা ব্যবহার করা যাবে সে সর্ম্পকে অল্প বিস্তর জানার চেষ্টা
করবো।
থানকুনি উপকারী এই পাতাটি প্রধানত পুকুর পাড়ে, ক্ষেতের বা ডোবার পাড়ে পাওয়া যায়।
এছাড়াও কর্দমাক্ত স্থানে এই পাতাটি দেখা যায়। থানকুনি পাতার উপকারিতা জন্য
এশিয়ার ভিন্নি দেশ যেমন বাংলাদেশ, ভারত, সিংহল, ইরান, মালোয়েশিয়া তে ব্য়াপক হারে
এই পাতা ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি তে অল্প পরিসরে
পাওয়া যায়।
Bissoy একাডেমি’র আজকের আলোচনায় থানকুনি পাতার উপকারিত ও অপকারিতা সহ যেসকল বিষয়
আজকে আমরা আলোচনা করবো একনজরে দেখে নেই।
- থানকুনির ইংরেজি নাম কি?
- থানকুনি পাতার রোগ নিরাময় গুণ
- থানকুনি পাতা কিভাবে খেতে হয়/ থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম
- যৌবন ধরে রাখতে থানকুনি পাতার উপকারিতা
- থানকুনি পাতা খেলে কী স্মৃতিশক্তি বাড়ে?
- থানকুনি পাতা খেলে ফর্সা হয়
- থানকুনি পাতা মুখে দিলে কি হয় / থানকুনি পাতার রস মুখে দিলে কি হয়?
- থানকুনি পাতা চিবিয়ে খাওয়ার কি কি উপকারিতা রয়েছে?
- সকালে খালি পেটে থানকুনি পাতা খেলে কি হয়?
- চুলের জন্য থানকুনি পাতার কি কি উপকারিতা রয়েছে?
- কি পাতা খেলে আমাশয় ভালো হয়?
- থানকুনি পাতার ব্যবহার
- গর্ভাবস্থায় থাকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা
- থানকুনি পাতা উপকারিতা
- থানকুনি পাতার অপকারিতা
- থানকুনি পাতার উপকারিতা- ত্বকের ও চুলের যত্নে
থানকুনির ইংরেজি নাম কি? বা থানকুনি পাতার পরিচয়
থানকুনি বা আদামণি পাতার বৈজ্ঞানিক নাম Centella asiatica. বাংলাদেশ, ভারত,
পাকিস্তান, শীলংকা, ইরান প্রভৃতি দেশে থানকুুনি পাতা পাওয়া যায়। থানকুনি পাতা
প্রধানত ডোবা, পুকুর বা কর্দমাক্ত স্থানে পাওয়া যায়।
থানকুনি বসন্তকালে ফুল আসে এবং গ্রীস্মকালে ফল পাকে ও ঝরে যায়। থানকুনি পাতা
অত্যন্ত কার্যকর একটি ভেষজ। নিয়মিত থানকুনি পাতা খেলে রুচি বৃদ্ধিপায়, বদহজম,
গ্যাস্টিক সমস্যা দূর হয়।
থানকুনি পাতার রোগ নিরাময় গুণ
থানকুনি পাতা একটি পরিচিত ভেষজ। আমাদের সকলের নিকট অনেক পরিচিত একটি নাম।
থানকুনিতে ভিটামিন সি থাকায় বহুবিধ রোগ নিরাময় সাহায্য করে। যেমন সর্দি-কাশির
জন্য এই পাতা অনেক উপকারি, এছাড়াও মুখে ব্রণ দূর করতে, মুখে ঘা বা ক্ষত সারাতে,
গলার ব্যাথ থানকুুনি পাতা সাহায্য করে।
থানকুনি পাতার আরো যেসকল রোগ নিরাময় গুণ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম -
- আমাশয় চিকিৎসা: দীর্ঘদিন ধরে আমাশয় আক্রান্ত ব্যাক্তি নিয়মিত ভাবে ৫-৬ চামক থানকুনি পাতার রস খেলে দ্রুতই নিরাময় হবে।
- বদহজম চিকিৎসা: আমাশয় রোগের চিবকৎসার মত নিয়মিত ৫-৬ চামচ থানকুনির পাতা রস খেলে অথবা থানকুনি পাতা ভেজে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
- মুখের ব্রণ দূর করতে: থানকুটি পাতার রস নিয়মিত ভাবে মুখে ব্যবহার করলে ব্রণ সমস্যা দূর হয়ে যায়।
- কাশি বা গলা ব্যাথা দূর করতে: অনেকেই দীর্ঘদিন যাবত কাশি বা গলা ব্যাথার সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খেতে পারেন।
- অনিয়মিত ঋতু স্রাব: যারা অনিমত ঋতু চক্রে ভুগছেন তারা নিয়মিত ভবে ৩-৪ চামক থানকুনি পাতার রস খেলে এ সমস্য থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
- রুপ - লাবন্য ফিরে পেতে: বিশেষ করে মেয়েরা চেহেরা লাবণ্য ধরে রাখতে নিয়মিত ৪-৫ চামক থানকুনি পাতার রস এক কাপ গরম দুধে মিশিয়ে খেলে রুপ লাবন্য ফিরে পাবেন।
- চুল উঠা: পুরুষদের একটি সাধারণ সমস্যায় পরিনত হয়েছে চুল উঠা। অল্প বয়সে টাক হয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। তারা চুল উঠা সমস্যা দুর করতে এক কাপ গরম দুধের সাথে খেলে চুল পড়া সমস্য দূর হবে।
- ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে: যাদের ঘামে দুগন্ধ পাওয়া যায় তারা নিয়মত গরম দুধের সাথে ৫-৬ চামচ থানকুনি পতার রস খেলে উপকার পাবেন।
- বাচ্চা কথা বলতে দেরি হলে: অনেক শিশু কথা বলতে দেরি করে। তাদের নিয়মিত ১ চামচ থানকুনি রস এক চামক মধুর সাথে মিশিয়ে খাওয়ালে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
থানকুনি পাতা খাওয়ার বা ব্যবহারের নিয়ম
থানকুনি প্রাকৃতিক ভেষজগুন সম্পন্ন পাতা। নানাবিধ রোগের কার্যকরী এই থানকুনি
পাতা। তবে অবশ্যই সঠিক নিয়মে ব্যবহার করতে হবে। গবেষনায় দেখা গেছে থানকুনি পাতা
সঠিক নিয়মে খেলে মাথা থেকে পা পর্যন্ত প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়তে
থাকে। থানকুনি পাতা বিভিন্ন উপায় খাওয়া যায় বা ব্যবহার করা যায় তবে সঠিক
নিয়মে ব্যবহার বা খেলেই মিলবে কাংখিত ফলাফল। চলুন জেনে নিই থানকুনি পাতা
খাওয়ার বা ব্যবহারের নিয়ম -
থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম : ১. কাশি হলে ২ চামচ থানকুনি পাতার রসের সাথে চিনি মিশিয়ে খেলে সাথে সাথে কাশি কমে যায়। ২. জ্বর হলে ১ চামচ থানকুনি পাতার রস ও ১ চামচ শিউলি পাতার রস মিশিয়ে খেলে দ্রুত সময়ে জ্বর কমে যায়। ৩. সপ্তাহে নিয়মিত থানকুনি পাতা খেলে স্কাল্পের ভিতর পুষ্টি ঘাটতি দূর হয় ফলে চুল পড়া কমে যায়। ৪. গ্যাস্টিকের সমস্যা দুর করতে হাফ লিটার দুধে থানকুনি পাতার রস (পরিমানমত), ২৫০ গ্রাম মিশ্রি মিশিয়ে নিয়মিত খেলে গ্যাস্টিকের সমস্যা হতে মুক্তি মিলবে।
এছাড়াও থানকুনি পাতা সবজি হিসেবে থেকে পারেন নিয়মিত ভাবে। ঔষুধি গাছটি গ্রাম অঞ্চলে পরিচিত থানকুনি নামে। গ্রামে বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া হয় থানকুনি পাতা যেমন ভর্তা, ভাজি, বড়া, সালাদ ইত্যাদি।
- থানকুনি পাতার ভর্তা/ থানকুনি পাতা, পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, কাঁচামরিচ, আদা কুচি, লবণ ও সরিষার তেল (সকল উপাদান পরিমানমত )। এছাড়াও আলুর সাথে থানকুনি পাতার মিশিয়ে ভর্তা খেতে পারেন।
- থানকুনি পাতার ভাজি
- থানকুনি পাতার বড়া
- থানকুনি পাতার জুস : থানকুনি পাতার রস, মধু (চিনি দিয়েও খেতে পারেন তবে মধুতে উপকার বেশি।
যৌবন ধরে রাখতে থানকুনি পাতা। মাত্র সাত দিনে ফিরে পান হারানো যৌবন
মানুষ এখন প্রাকৃতিক খাবারের প্রতি বেশি আগ্রহী। ভেজালযুক্ত খাবার খেয়ে মানুষ
এখন অনেকটাই অসুস্থ। কৃত্রিম জিনিস শরীরের জন্য স্বাস্থকর নয়। আমাদের হাতের
কছেই প্রাকৃতিক অনেক খাবার রয়েছে যা আমাদের চোখের আড়ালেই থেকে যায়।
যৌবন ধরে রাখতে থানকুনি পাতার ব্যবহার বিশ্বব্যাপি গ্রহণযোগ্য। বিজ্ঞানের
গবেষনায় দেখা গেছে যৌবন ধরে রাখতে থানকুনি পাতার জুরি মেলা ভার । প্রতিদিন
সকালে এক গ্লাস দুধে ৫-৬ চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেতে হবে। মাত্র ৭ দিনে
ফিরে পাবেন চেহারায় লাবণ্য ও আত্মবিশ্বাস।
থানকুনি পাতা খেলে কী স্মৃতিশক্তি বাড়ে?
আমাদের অনেকের মাঝেই একটি প্রশ্ন “থানকুনি পাতা খেলে কী স্মৃতিশক্তি বাড়ে ?”
অনেকেই নিয়মিত ধানকুনি পাতা খেয়ে থাকেন। চিকিৎসকের মতে থানকুনি পাতা মস্তিস্কের
স্মৃতি শক্তি বাড়ায়, লিভার, কিডনি উন্নতি করে। এছাড়াও আরো কিছু উপকার
পাওয়া যায়-
- মস্তিস্কে কার্যক্ষমতা বাড়ায় : ২০১৬ সালের একটি গবেষনায় দেখা গেছে নিয়মিত থানকুনি পাতা খেরে মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
- স্নায়ুর কার্যকারিতা বৃদ্ধি : নিয়মিত থানকুনি পাতা খেলে স্নায়ুর কার্যকারিতা বৃদ্ধি বাড়ায়। আলঝেইমার রোগের চিকিৎসায় থানকুনি কার্যকর।
- হতাশা দূর করে: থানকুনি পতার রস নিয়মিত পান করলে স্ট্রেস, উদ্বেগ এবং বিষণ্নতা হ্রাস করে।
- রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে
- অনিদ্রা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
থানকুনি পাতা খেলে ফর্সা হয়। থানকুনি পাতা মুখে দিলে কি হয়। থানকুনি পাতার রস মুখে দিলে কি হয়?
থানকুনি পাতা খেলে ফর্সা হয় এমন ধারনা থেকে অনেকেই থানকুনি পাতার ব্যবহার করে
থাকেন । চলুন জেনে নিই বিস্তারিত। থানকুনি পাতায় থাকা একাধিক ভিটামিন ও মিনারেল
ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে। ত্বক ফর্সা কারতে ভিটামিন সি অত্যন্ত কার্যকরী।
থানকুনি পাতার রস মাখলে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়। চামড়া উন্নতি করে িএবং
অকাল বার্ধক্য হতে রক্ষা করে। ত্বকের দাগ দূর করতে থানকুনি পাতা অনেক কার্যকরী
ভূমিকা রাখে।
থানকুনি পাতার উপকারিতা- ত্বকের যত্নে। থানকুনি পাতা চিবিয়ে খাওয়ার কি কি উপকারিতা রয়েছে?
আপনি ্ত্বকের লাবণ্য ফেরাতে চান? তাহলে আজ থেকে শুরু করুন থানকুনি পাতার
ব্যবহার। থানকুনি পাতা বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায় তার মধ্যে চিবিয়ে খাওয়া অন্যতম।
নিয়মিত থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে অল্প দিনের মধ্যে চেহারায় লাবণ্য ফিরে পাবেন,
ফিবে পাবেন চেহারার গ্লো।
ত্বকের লাবণ্য ফেরাতে আমরা অনেকেই বিভিন্ন কৃত্রিম মেডিসিন ব্যবহার করি যা
ত্বকে জন্য ক্ষতিকর। তবে অনেকেই প্রাকৃতিক উপায়ে হারানো যৌবন ফিরে পেতে চান।
আমাদের হাতের কাছেই এমন অনেক প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা দিয়ে আপনারা
হারানো ত্বকের লাবণ্য ফিরে পেতে পারেন। হারানো ত্বকের লাবণ্য ফিরে পেতে এখন
থেকে থানকুনি পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
শরীর ভালো রাখতে এই পাতা যতটা কার্যকরী ত্বকের লাবণ্য ফিরাতে ততটাই
কার্যকর। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, “থানকুনি পাতায় উপস্থিত
অ্য়ান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকের অন্দরে জমে থাকা টক্সিন বের করে দেয়। এদিকে এর
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ ত্বকের অন্দরে প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন
করে।”
সকালে খালি পেটে থানকুনি পাতা খেলে কি হয়। কি পাতা খেলে আমাশয় ভালো হয়?
আমরা সকলেই কমবেশি পেটের পিড়ায় বা পেটের অসুখে ভুগি। পেটের পিড়ায় আমরা
ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ সেবন করে থাকি। তবে অনেকের হয়ত জানাই নেই থানকুনি পাতার
রস নিয়মিত খালি পেটে খেলে পেটের সমস্যা থেকে লাঘব পাওয়া যায়। বিশেষ করে
ডায়রিয়া, কলেরা, টায়ফয়েড এর মত সমস্যার সমাধানে থানকুনি পাতা বেশ
কার্যকরী।
থানকুনি পাতায় এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা সেরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ
বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্ট্রেস হরমোনের প্রভাব কমতে শুরু করে। এছাড়াও মস্তিস্কের
ক্ষমতা বৃদ্ধি, ত্বকের সতেজতা বৃদ্ধি, অনিদ্রার সমস্যা সমাধান থানকুনি পাতা
ব্যবহারে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
থানকুনি পাতার উপকারিতা- চুলের যত্নে। চুলের জন্য থানকুনি পাতার কি কি উপকারিতা রয়েছে?
গবেষণায় দেখা গেছে সপ্তাহে ২-৩ বার থানকুনি পাতা খেলে স্কাল্পের ভেতরে পুষ্টির
ঘাটতি দূর হয়। ফলে চুল পড়া কমে যায়। চুল পড়ার হার কমাতে আরেকভাবেও থানকুনি
পাতাকে কাজে লাগাতে পারেন। পরিমাণ মতো থানকুনি পাতার রস করে নিতে হবে। তার
সঙ্গে পরিমাণ মতো তুলসি পাতা এবং আমলা মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে।
পেস্টটা চুলে লাগিয়ে নিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে তার ধুয়ে ফেলতে হব এভাবে
নিয়মিত করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
এছাড়াও থানকুনি পাতার তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। থানকুনির তেলের
অ্য়ান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান স্ক্যাল্পের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য
করে, চুলের ঘন্বত্ব বাড়াতে, স্কালের পুষ্টি ঘাটতি দূর করতে এবং মাথার ত্বকে
সংক্রামক রুখে দিতে থানকুনির তেল বেশ কার্যকরী।
থানকুনি পাতার ব্যবহার । থানকুনি পাতার কী কী ব্যবহার রয়েছে?
উপকারী এই ভেষজটি আমরা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে থাকি। বিশেষ করে আমাদের ত্বকের
উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে, যৌবন ধরে রাখতে থানকুনি ব্যবহার চোখে পড়ারমত।
থানুকনি পাতায় প্রচুর ভিটামিন থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও-
- পেটের অসুখ - ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয় ইত্যাদি তে ঔষধ হিসেবে কাজ করে
- কাশি কমাতে সহায়তা করে
- মুখের ঘা ও শরিরের ক্ষত সারাতে
- ব্রণ বা মেছতা চিকিৎসায় থানকুনি
- ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে
- যৌবন ধরে রাখতে
- চুল পড়া রোধ করতে
- গলা ব্যাথা কমাতে
- ফর্সা হতে থানকুনি পাতার ব্যবহার
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
থানকুনি পাতা উপকারিতা। থানকুনি পাতার অপকারিতা। থানকুনি পাতার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
স্বাভাবিক ভাবেই যেকোনো জিনিসের ভালো ও খারাপ দিক রয়েছে। তেমনি থানকুনি পাতার
নানাবিধ উপকারের সাথে সাথে এর খারাপ দিক বা অপকারিতাও রয়েছে। এক আমরা
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলে থাকি। ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে পাওয়া, পেটের অসুখ ভলো
হওয়া, গলা ব্যাথা, চুল পড়া রোধ এসবই থানকু্নি পাতার উপকারিতা।
এতক্ষন আমরা থানকুনি পতার উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। এখন আমরা জানবো এর খারাপ
দিক। থানকুনি পাতা পরিমিত খেলে যেমন পেটের পিড়া বা অসুখ ভলো হয় তেমনি ভাবে
পরিমাণে বেশি হলে পেট ব্যাথা বৃদ্ধি পেতে পারে। যাদের লিভার সিরোসিস বা লিভার
জটিলতা রয়েছে তাদের থানকুনি পাতার ব্যাবহার এড়িয়ে চলাই উচিত বা না খাওয়াই ভালো।
লেখকের মতামত - যৌবন ফিরে পেতে থানকুনি পাতা
প্রিয় রিডার আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে যৌবন ফিরে পেতে থানকুনি পাতার
ভূমিকা,উপকারিতা, অপকারিতা সহ এর বিভিন্ন ব্যবহার তুল ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
আশা করা যায় আজকের আলোচনার মাধ্যমে আপনি থানকুনি পাতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা
পেয়েছেন।
সর্বপরি, এমন আরো তথ্য জানতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন,
সাবস্ক্রইব করে রাখুন, ফলো করুন, যেকোন বিষয়ে জানতে বা শেয়ার করতে চাইলে
অবশ্যই কমেন্ট করুন।
আরো দেখুন: