মাইক্রোসফট ওয়ার্ড কী? মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর ব্যবহার ২০২৪
টেক্সট ডকুমেন্ট তৈরি ও এডিট করার জন্য ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। যেমন: কোনো জীবনবৃত্তান্ত, রিপোর্ট ইত্যাদি তৈরিতে ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যারে ডকুমেন্টকে এডিট এবং ফরমেটিং করার বিভিন্ন টুল থাকে। যেমন: ওয়ার্ড প্রসেসিং এর সাহায্যে টেক্সকে বিভিন্ন কলামে সজ্জিত করা, ডকুমেন্ট এর পেজ নম্বর যুক্ত করা, ডকুমেন্ট টেক্সট এর সাথে ছবি যুক্ত করা সহ আরো নানান ধরনের ফরমেটিং এর কাজ করা যায়।
কয়েকটি ওয়ার্ড প্রসেসিং প্রোগ্রামের উদাহারণ
১. মাইক্রোসফট ওয়ার্ড
২. ওয়ার্ড পারফেক্ট
৩. অ্যাপল ওয়াকর্স
৪. ওপেন অফিস ডট অর্গ
ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার এর ব্যবহার সমূহ
ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার এর ব্যবহার করে লেখালেখির বিভিন্ন কাজ করা যায়। যেমন:
১. ডকুমেন্ট তৈরি ও এডিট, সংরক্ষণ এবং প্রিন্ট করা যায়।
২. ডকুমেন্ট এর মধ্যে টেক্সট কপি, পেস্ট, মুছে ফেলা যায়।
৩. অন্যান্য প্রোগ্রাম যেমন ইলাস্ট্রেটর থেকে ছবি যুক্ত করা যায়।
৪. লেখার বানানা বা গ্রামার শুদ্ধ করা যায়।
বিভিন্ন ধরণের ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার থাকলেও বহুল ব্যবহৃত হলো মাইক্রোসফট ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার। আজকে আমার মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর ব্যবহারসহ বিস্তারিত জানবো।
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড (Microsoft Word) চালু করার পদ্ধতি
১. Start লেখাতে মাউস পয়েন্টার রেখে ক্লিক করুন।
২. মাউস পয়েন্টারকে all programs লেখার উপর ক্লিক করুন।
৩. Microsoft Word লেখার উপর মাউস পয়েন্টার এনে ক্লিক করুন।
মেনু বার ( Menu Bar)
ওয়ার্ড উন্ডোর উপরে File, Home, Edit, View ইত্যাদি লেখা বারকে মেনু বার বলে। মাউস পয়েন্টার নিয়ে ক্লিক করলে বা Alt-কী চেপে ধরে আন্ডারলাইন অক্ষর চাপলে মেনু বার ওপেন হয়।
ফমেটিং টুল বার (Formating Tool Bar)
ফমেটিং টূল বারের বিভিন্ন আইকন ব্যবহার করে ফন্ট পরিবর্তন, ফন্টের সাইজ ছোট বড় করা, লেখাকে বোল্ড করা, আন্ডারলাইন করা, ইটালিক করা ইত্যাদি কজে ব্যবহার করা হয়।
রুলার (Ruler)
ফমেটিং টুল বারে স্কেলের মত রুলার আছে। মাপমতো লেখাকে বিভিন্নভাবে সাজাতে এই রুলার ব্যবহার করা হয়।
ভার্টিকেল ও হরিজন্টাল ক্রলবার
পর্দার বিভিন্ন স্থানে সহজে যাওয়ার জন্য ডানদিকে ভার্টিকেল ক্রলবার এবং বামদিকে হরিজন্টাল ক্রলবার রয়েছে।
স্ট্যাটাস বার (Status Bar)
পর্দার একেবারে নিচে page, see, at ইত্যাদি লেখা বারকে স্ট্যাটাস বার বলে। স্ট্যাটাস বারে লেখা দ্বারা লেখার বিভিন্ন অবস্থা বুঝায়।
আমরা মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের বিভিন্ন অংশের ব্যবহার ও পরিচিতি সম্পর্কে জানলাম। এখন আমরা মাইক্রোসফট ব্যবহার করে টেক্সট টাইপ করা ও টেক্সট ফরমেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড (Microsoft Word) টেক্সট টাইপ বা লিখার নিয়ম
MS word শুরু ওপেন করলে এবং বামদিকে তাকালে দেখতে পাবে একটি কালো রেখা। একে কার্সর বলে। কী-বোর্ড থেকে কোন অক্ষর টাইপ করলে তা কার্সরের মাধ্যমে আসবে। এসময় মাউস পয়েন্টারটি পর্দায় তীর চিহ্নের মত দেখাবে একে আইবিম বলে।
- কী-বোর্ডের বাম পাশে Caps Lock নামে একটি কী আছে। এই কী চাপলে কী-বোর্ডের ডান পাশে একটি বাতি জ্বলে উঠবে তাহলে বুঝা যাবে অন আছে। এ অবস্থায় টাইপ করলে লেখা ইংরেজি হাতের বড় হবে। যেমন: BISSOY ACADEMY. ক্যাপস লক অফ থাকলে লেখা ইংরেজি হাতে ছোট হবে। যেমন: bissoy academy
- Shift লেখা কী চেপে ধরে কী-বোর্ডে অক্ষর লিখলে ইংরেজি বড় হাতে হবে। এবং Shift কী ছেড়ে দিলে ইংরেজি অক্ষর ছোট হাতের হবে। নিচের লেখাটি টাইপ করুন: Bissoy Academy is the largest and greatest online school for learning computer.
- কী-বোর্ডের Enter লেখা কী চাপ দিলে কার্সর নিচের লাইনে আসবে। এরপর নিচের লেখাটি টাইপ করুন: Edudcation is the backbone on a nation.
ডকুমেন্ট ফন্ট পরিবর্তন করার নিয়ম
- Font টুল গ্রুপে থাকা ফন্ট মেনুর ডান পাশের তীর চিহ্নে ক্লিক করে উন্ডোজের যে ফন্ট গুলো পাওয়া যাবে সেগুলোর একটি তালিকা প্রদর্শিত হবে।
- যে ফন্ট টি প্রয়োজন তার উপর ক্লিক করুন। ফলে ওয়ার্ডে ডকুমেন্ট এ সিলেক্টকৃত টেক্সটি ঐ ফন্টে পরিবর্তিত হবে।
ফন্টের আকার পরিবর্তন করা
ফন্ট সাইজ পরিমাপ করা হয় পয়েন্ট দিয়ে। এক পয়েন্ট হলো এক ইঞ্চির ৭২ ভাগের এক ভাগ। ফন্টের আকার পরিবর্তন করতে চাইলে তা ওয়ার্ডের মাধ্যমে খুব সহজে করা যায়। এজন্য যা করতে হবে-
- প্রথমে যে টেক্সট এর ফন্টের সাইজ পরিবর্তন করা দরকার সেটি সিলেক্ট করতে হবে।
- দ্বিতীয়ত ফন্ট সাইজের পাশে থাকা ডাউন এ্যারোতে ক্লিক করে ফন্ট সাইজের একটি তালিকা প্রদর্শিত হবে।
- তৃতীয়ত, মাউস দিয়ে ফন্ট সাইজে ক্লিক করলে ফন্টের সাইজ পরিবর্তিত হবে।
ফন্টের কালার পরিবর্তন করা
ফন্টের কালার পরিবর্তন করতে হলে সেকল পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে তা নিম্নরুপ-
- প্রথমে যে টেক্সট এর কালার পরিবর্তন করা দরকার সেটি সিলেক্ট করতে হবে।
- দ্বিতীয়ত ফন্ট কালারের পাশে থাকা ডাউন এ্যারোতে ক্লিক করে ফন্ট কালার প্যাড প্রদর্শিত হবে।
- তৃতীয়ত, মাউস দিয়ে কালার প্যাডে ক্লিক করলে ফন্টের কালার পরিবর্তিত হবে।
টেক্সট কপি ও পেস্ট করা:
টাইপ করা কোন লেখা যাদি পুনরায় লেখার প্রয়োজন হয় তবে টাইপ করা টেক্সটটি কপি করে যে স্থানে প্রয়োজন সেখানে একে পেস্ট করা যায়। টেক্সট কে কপি ও পেস্ট করার জন্য নিচের ধাপ অনুসরণ করা যেতে পারে।
- পূবে তৈরি করা কোন ওয়ার্ড ডকুমেন্ট ওপেন করতে হবে নতুবা নতুন একটি ফাকা ওয়ার্ড ডকুমেন্ট ওপেন করে সেখানে কিছু টেক্সট টাইপ করতে হবে।
- টাইটকৃত টেক্সট সিলেক্ট করতে হবে।
- হোম রিবনের বাম দিকে থাকা Copy লেখা আইকনটির উপর ক্লিক করতে হবে।
- মাউসের সাহায্যে কপি করা টেক্সটি যেখানে বসাতে চাও সেখানে ক্লিক করে কার্সর স্থাপন করতে হবে।
- এবার Home রিবনের বাম দিকে থাকা Paste লেখা আইকনটির উপর ক্লিক করতে হবে। ফলে কপি করা টেক্সটি নতুন অবস্থানে পেস্ট হবে।
লেখা Delete করার পদ্ধতি
- যে লেখা গুলো ডিলিট করতে হবে তা প্রথমে সিলেক্ট করতে হবে।
- কী-বোর্ডের Delete লেখা বাটনে চাপ দিলে সিলেক্ট করা লেখাটি ডিলিট হয়ে যাবে।
লেখা বোল্ড (Bold) করার পদ্ধতি
- যে লেখাগুলো বোল্ড করা দরকার প্রথমে সেগুলো সিলেক্ট করতে হবে।
- স্ট্যান্ডার্ড টুল বারের B টুলে ক্লিক করলে অথবা Ctrl+B চাপলে লিখাটি বোল্ড হয়ে যাবে।
লেখা আন্ডারলাইন (Underline) করার পদ্ধতি
- যে লেখাগুলো আন্ডারলাইন (Underline) করা দরকার প্রথমে সেগুলো সিলেক্ট করতে হবে।
- স্ট্যান্ডার্ড টুল বারের U টুলে ক্লিক করলে অথবা Ctrl+U চাপলে লিখাটি আন্ডারলাইন হয়ে যাবে।